News

  • ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর – জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

    ৭ নভেম্বর, ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধোত্তর অস্থিরতা, রাজনৈতিক সংঘাত ও সেনা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে এই দিনটি জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে তীব্র অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক কাঠামো ও রাজনৈতিক নেতৃত্বে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, যা পরবর্তী সময়ে আরও জটিল আকার ধারণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর সেনা-বাহিনী ও সাধারণ জনগণ একত্রে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল ঘটায়। এই দিনের ঘটনাকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে অভিহিত করা হয়, কারণ এদিন সৈনিক-জনতা একত্রে জাতির ঐক্য ও স্বাধীনতার চেতনা পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এই আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মো. সায়েম রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে আসেন এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান জাতীয় নেতৃত্বে উঠে আসেন। ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর তাৎপর্যপূর্ণ দিন। দিনটি নিয়ে দেশে নানা মত থাকলেও এটি জাতীয় রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এদিনটিকে ভিন্নভাবে পালন করে থাকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এ দিনটিকে “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” হিসেবে পালন করে থাকে, যেখানে দলীয় কর্মীরা শহীদ সৈনিক ও নেতৃবৃন্দের স্মরণে মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। অন্যদিকে কিছু রাজনৈতিক দল এই দিনটিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে থাকে। বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো এদিন সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়া রাজধানীসহ সারাদেশে দোয়া মাহফিল, র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। দলটির পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্র রক্ষায় তাঁর অবদান তুলে ধরা হয়। ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রগঠনের ইতিহাসে শুধু একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিন নয়, এটি ঐক্য, দেশপ্রেম ও সংহতির প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত। আজও এই দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয়-জাতীয় সংকটে জনগণ ও সেনাবাহিনীর ঐক্য কিভাবে দেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিতে পারে।  
  • খুলনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল

    আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানস্থ বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটি ও সাংগঠনিক টিমের যৌথ বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণা দেন। জানা গেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে। আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল খুলনার খালিশপুর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই মেধাবী ও সামাজিক কাজে আগ্রহী বকুল প্রাথমিক শিক্ষা নেন স্থানীয় রোটারি স্কুলে। পরবর্তীতে খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং খুলনা বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালের সময় থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন এবং সক্রিয়ভাবে ছাত্ররাজনীতিতে অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা চলাকালেই তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত হন এবং ধীরে ধীরে সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হল কমিটির সহ-সভাপতি, প্রচার সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন শেষ করার পরও রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখেন এবং খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। দীর্ঘদিনের তৃণমূল সংগঠনের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বগুণের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক পদে তাঁকে মনোনীত করা হয়। রাজনৈতিক জীবনে আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল সবসময় আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। সরকারবিরোধী আন্দোলনসহ বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তাঁর নেতৃত্বের দৃঢ়তা ও তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তাঁকে খুলনা-৩ আসনে অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন এবং নির্ভীকভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত জীবনে বকুল একজন শিক্ষিত, পরিবারপ্রেমী ও সমাজসেবামূলক কাজে নিবেদিত মানুষ। তাঁর পিতা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পিতার আদর্শ ও দেশপ্রেম থেকেই বকুলের জীবনে সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে। করোনা মহামারির সময় তিনি খুলনা অঞ্চলে অসহায় মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন দাতব্য ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন এবং তরুণ প্রজন্মকে সুশিক্ষা ও সামাজিক দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল খুলনা-৩ আসনে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন। দীর্ঘ ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞতা, তৃণমূলের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এবং পারিবারিক ঐতিহ্য তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাঁর প্রার্থিতা এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বও বিশ্বাস করে, বকুল জনগণের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাবেন এবং এই আসনে পরিবর্তনের বার্তা বয়ে আনতে সক্ষম হবেন।
  • মীরবাড়ি জামে মসজিদে মকতব শিক্ষার্থীদের মাঝে আরবি শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

    খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে মীরবাড়ি জামে মসজিদের মকতবে পড়ুয়া শিশুদের মাঝে আরবি শিক্ষা উপকরণ ও রেল উপহার দেওয়া হয়েছে।

    শনিবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল-এর পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে খালিশপুর থানা ছাত্রদল।

    উপহার হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে আরবি শেখার বই ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেন থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। উপস্থিত শিশুদের মুখে ফুটে ওঠে আনন্দের হাসি।

    ‘তুমিও মানুষ, আমিও মানুষ-তফাৎ শুধু শিরদারায়’- এই মানবিক বার্তাকে ধারণ করে ছাত্রদলের উদ্যোগে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়। আয়োজকরা জানান, সমাজে সম্প্রীতি, মানবিকতা ও ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা বৃদ্ধিই তাদের মূল লক্ষ্য।

    তারা আরও বলেন, খুলনা-৩ (দৌলতপুর, খালিশপুর ও খান জাহান আলী) আসনের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নন, তিনি সমাজসেবায়ও সমানভাবে সক্রিয়। শিক্ষার প্রসার, বিশেষ করে ধর্মীয় শিক্ষায় শিশুদের আগ্রহ বৃদ্ধি ও নৈতিক বিকাশে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

    স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, বকুল সাহেব সবসময় ছাত্র ও তরুণ সমাজকে ইতিবাচক কাজে যুক্ত থাকতে উৎসাহিত করেন। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।

    মসজিদ কমিটির সভাপতি ও ইমাম এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “এ ধরনের কার্যক্রম সমাজে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও তিনি এমন মানবিক কর্মকাণ্ডে পাশে থাকবেন।”

  • “নারীর মতামতই শক্তি, নারীর অংশগ্রহণেই পরিবর্তন সম্ভব”

    নারীর মতামতই শক্তি, নারীর অংশগ্রহণেই পরিবর্তন সম্ভব। নারী আজ সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে নারীদের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যদি সঠিকভাবে ভোট দেন, তবে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে- যে সরকার জনগণের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল। শনিবার (১ নভেম্বর) দৌলতপুরের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ নারী ভোটারদের সঙ্গে এক উন্মুক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই পারে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। জনগণের মতামতই আসল শক্তি, আর সেই শক্তি প্রকাশ পায় ভোটের মাধ্যমে। নারী সমাজ যদি নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা নেয়, তবে প্রকৃত পরিবর্তন নিশ্চিত হবে। আলহাজ্ব বকুল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারীর নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করা জরুরি। আর এ দায়িত্ব নিতে পারে কেবল জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। আমরা চাই, এমন একটি সরকার আসুক, যেখানে নারী সমাজ হবে শক্তি ও পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভোট আপনার অধিকার, আপনার কণ্ঠস্বর- এই কণ্ঠ যেন নীরব না থাকে। সময় এসেছে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের, আর সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাদের হাতেই। সভায় অংশগ্রহণকারী নারীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা তুলে ধরেন। তারা বলেন, সমাজে নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি দায়বদ্ধ সরকার প্রয়োজন, আর সেটি কেবল জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারই করতে পারে। সভায় স্থানীয় নারীনেত্রী, সমাজকর্মী এবং রাজনৈতিক কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
  • সমাজসেবায় যুবদল: খুলনায় খাল পরিষ্কার কর্মসূচিতে শতাধিক কর্মীর অংশগ্রহণ

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর যুবদল আয়োজন করে এক অনন্য সামাজিক কর্মসূচি—“খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান”। বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও খুলনা-৩ আসনের গণমানুষের প্রিয় নেতা আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় দৌলতপুর থানার আরংঘাটা ইউনিয়নের খুদের খালে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এই অভিযানে খুলনা মহানগর যুবদলের শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন। তারা খালের বিভিন্ন অংশ থেকে জমে থাকা বর্জ্য ও আবর্জনা অপসারণ করেন, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অংশগ্রহণকারীরা জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে যুবদল শুধু রাজনীতি নয়, সমাজের কল্যাণমূলক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখতে চায়। এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
  • খুলনায় ফ্রি চক্ষু সেবা ক্যাম্প, চিকিৎসা পেলেন ৩০০ রোগী

    খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী ফ্রি চক্ষু সেবা ক্যাম্প, যেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন তিন শতাধিক রোগী। এই মানবিক উদ্যোগের সার্বিক সহযোগিতা ও তদারকিতে ছিলেন অত্র এলাকার কৃতিসন্তান ও সমাজসেবক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রায়েরমহল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত ক্যাম্পটিতে সকাল থেকেই ছিল রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২০ জনকে ছানি ও নালি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়, যাদের সার্জারি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া যেসব রোগীর চশমার প্রয়োজন ছিল, তাঁদেরও বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হয়। এই মানবিক আয়োজনের সফলতা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল। তাঁর উদ্যোগ ও সহযোগিতায় আয়োজক সংগঠন ক্যাম্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়। ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, খালিশপুর থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এসময় তাঁরা বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে মানবিকতার বার্তা ছড়িয়ে দেয় এবং তরুণ প্রজন্মকে সমাজসেবায় অনুপ্রাণিত করে।
  • মানবিক রাজনীতির অনন্য দৃষ্টান্ত: খুলনার নয়াবাটিতে গভীর নলকূপ স্থাপন

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে সবার আগে পানি নিশ্চিত করতে হবে। এই নলকূপ এলাকার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি শুধু রাজনৈতিক আন্দোলনে নয়- মানবিক উদ্যোগেও জনগণের পাশে থাকতে চায়। দলের নেতাকর্মীরা যেন সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। শনিবার (২৫ অক্টোবর) খুলনার নয়াবাটি হাজি শরিয়ত উল্লাহ স্কুলসংলগ্ন রেলক্রসিং এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সুবিধা নিশ্চিত করতে গভীর নলকূপ স্থাপনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সকলের মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট ছিল। এই নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে বহু পরিবার উপকৃত হবে এবং দৈনন্দিন জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মানবিক এই উদ্যোগ এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশংসার জন্ম দিয়েছে। উপস্থিত সবাই দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও কল্যাণ কামনায় দোয়া করেন।
  • অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল

    খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন ৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর অফিসের বিপরীতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। বকুল আশ্বাস দেন- বিএনপি মানবিকতার দল, বিপদের সময়ে জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। তিনি বলেন, বিএনপি শুধু রাজনীতি করে না, মানুষের কষ্ট ভাগ করে নেয়। এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আমরা সাধ্যমতো সহায়তা করব। স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে হঠাৎ করে আগুন ছড়িয়ে পড়লে কয়েকটি দোকান ও ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ব্যাপক। আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের মানবিক উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, বিপদের সময় নেতারা যখন পাশে থাকেন, তখন সাহস ফিরে আসে। বকুল ভাই আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন- এটাই বড় সান্ত্বনা। এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো, বিএনপি শুধু রাজনৈতিক শক্তি নয়- একটি মানবিক পরিবার, যারা জনগণের দুঃসময়েও পাশে দাঁড়ায়।
  • খুলনায় জনগণের পাশে বিএনপি নেতা বকুল- বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেল দুই শতাধিক মানুষ

    বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের সার্বিক সহযোগিতায় ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর উদ্যোগে বুধবার খুলনা মহানগরের ৯নং ও ১০নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরামর্শের ব্যবস্থা করা হয়। এই উদ্যোগে দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। ড্যাবের চিকিৎসক দল বিভিন্ন সাধারণ ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমন উদ্যোগ তাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক, বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারগুলোর জন্য এটি আশীর্বাদস্বরূপ। ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ্ জানান, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলে প্রায় ৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল ভবিষ্যতেও এমন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।
'